শোনিম শাহীন কমিউনিটি ক্লিনিক

সিমেক গ্রুপের অন্যতম সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হলো শিন-শিন জাপান হাসপাতাল। জাপান ও বাংলাদেশের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ার যৌথ উদ্যোগে আধুনিক মানসম্পন্ন ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের সর্বশেষ প্রযুক্তি নিয়ে অক্লান্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন এই হাসপাতালটি। মূলত বাংলাদেশে জাপানীজ প্রযুক্তি ও সেবার প্রক্রিয়ায় বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে একটি মডেল হাসপাতাল হিসেবে ডিজাইন করা হয়েছে জাপান-বাংলাদেশ জয়েন্ট ভেনচার “শিন-শিন জাপান হাসপাতাল”।

শিন-শিন জাপান হাসপাতালের অভিজ্ঞ এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে ক্লিনিকটি ৷ এখানে সাধারন রোগীর পাশাপাশি গর্ভবতী মায়েদের বিশেষ আনল্ট্রাসনোগ্রাফি, মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য সেবা, মেয়েদের বয়োঃসন্ধিকালীন নানাবিধ সমস্যা এবং বিবাহপূর্ব ও পরবর্তী বিভিন্ন বিষয়ে গ্রামীন জনপদের সুবিধা বঞ্চিত রোগীদের বিনামূল্যে পরামর্শ দেয়া হয়। শোনিম শাহীন কমিউনিটি ক্লিনিক” এর আওতায় বিনামূল্যে অতীব প্রয়োজনীয় সাপ্তাহিক চিকিৎসা ও পরামর্শ দিতে সিমেক ফাউন্ডেশন সদা সচেষ্ট।

রক্তদান কর্মসূচি

 

একের রক্ত অন্যের জীবন, রক্তই হোক আত্মার বাঁধন। স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচীর মাধ্যমে বিপদগ্রস্ত ও মুমূর্ষু রোগীর জীবন বাঁচাতে উদ্যোগ নিয়েছে মানবসেবায় ব্রতী সংগঠন সিমেক ফাউন্ডেশন। স্বেচ্ছায় রক্তদাতার এক ব্যাগ মূল্যবান রক্তে মৃত্যুপথযাত্রী রোগীর জীবন বাঁচে, নিজের জীবনও থাকে ঝুঁকিমুক্ত। এই মহৎ কাজে ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী যেকোনো সুস্থদেহের মানুষকে রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করা ও সচেতনতা সৃষ্টির কাজ করছে ফাউন্ডেশনের কর্মীরা। গবেষনায় প্রমাণিত হয়েছে, নিয়মিত রক্তদান করলে হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন জটিল রোগের আশংকা কমে যায়। বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তাই সারাদেশে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি ও স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের তালিকা তৈরির মাধ্যমে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে  কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্পের কর্মীরা বদ্ধপরিকর।