সিমেক গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট সমাজসেবক এবং প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ইঞ্জিঃ সরদার মোঃ শাহীন এর পিতা মরহুম আব্দুল মজিদ সরদার এবং মাতা মরহুমা সাহিয়া বেগম এর নামে নামকরণ হয়েছে ‘সাহিয়া-মজিদ শিক্ষা বৃত্তি প্রকল্প’। এটি একটি সম্পূর্ণ অলাভজনক, অরাজনৈতিক সেবামূলক শিক্ষা সহায়ক প্রকল্প। বাংলাদেশের শিক্ষা খাতের সার্বিক উন্নয়নে খানিকটা ভূমিকা রাখাই এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।
আব্দুল মজিদ সরদার ছিলেন একজন অত্যন্ত দরদী সমাজকর্মী। তিনি ব্যক্তিগত ও কর্মজীবনে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন সমাজ সেবামূলক বিভিন্ন কর্মকান্ডে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে বাবা-মা দুজনেই সমাজ সেবার এই মহান ব্রতে কাজ করেছেন। তাঁদের স্বপ্ন ছিল দেশের দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা প্রসারের জন্য কাজ করার। তাঁদের সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে তাঁদেরই সর্বকনিষ্ঠ সন্তান ইঞ্জিঃ সরদার মোঃ শাহীন ১৯৯৮ সাল থেকে ব্যক্তিগতভাবে এই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। ২০০০ সালের শুরুতেই জন্ম হয় সিমেক ফাউন্ডেশনের। একই সালের একই সময়ে প্রতিষ্ঠিত হয় সিমেক ইন কর্পোরেশন। তখনও সিমেক গ্রুপ প্রতিষ্ঠা লাভ করেনি। সফটওয়্যার হাউজ হিসেবে সিমেক ইন কর্পোরেশন হাটি হাটি পায়ে চলতে শুরু করেছে কেবল। সিমেক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই এর সকল কার্যক্রমকে একটি সময় উপযোগী এবং অত্যন্ত গুরুত্ত্বপূর্ণ সেবামূলক প্রকল্প হিসেবে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে সিমেক ইন কর্পোরেশন সার্বিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রদান করে। পরবর্তীতে সিমেক গ্রুপের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিমেক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা পায়। তখন থেকেই “সাহিয়া-মজিদ শিক্ষা বৃত্তি” সিমেক ফাউন্ডেশনের একটি প্রকল্প হিসেব পরিচিতি লাভ করে।
বাংলাদেশের পশ্চাৎপদ গ্রাম বাংলার মানুষদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার লক্ষ্যে একটু সহযোগীতা প্রদানকল্পে এই কর্মসূচী সামান্য হলেও ভূমিকা পালন করছে। শিক্ষাবঞ্চিত গ্রাম বাংলাকে আলোকিত করে শিক্ষিত বাঙ্গালীদের নিয়ে একটি আধুনিক সোনার বাংলা গড়াই এই প্রকল্পের অন্যতম মূল উদ্দেশ্য।